Posts

Showing posts from October, 2014

শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের জীবন প্রবাহ _২

Image

এফবিআই (F.B.I)

Image
এফবিআই (F.B.I) ১৯৬৮ সালে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে জয়ী হয়েছিলেন রিপাবলিকান পার্টির রিচার্ড নিক্সন। ১৯৭২ সালে তিনি প্রেসিডেন্ট পুনর্নির্বাচিত হন। জনপ্রিয়তা ছিল ব্যাপক। কিন্তু এবার তিনি পদত্যাগ করেছিলেন দুই বছরের মাথায়। তাও ইচ্ছায় নয়; একেবারে বাধ্য হয়ে। ১৯৭৪ সালের ৯ আগস্ট তিনি পদত্যাগ করেন। একই সাথে নিক্সনের কয়েকজন ঘনিষ্ঠ সহযোগীকে হয়েছিল জেল খাটতে। ১৯৭২ সালে নির্বাচনের মৌসুমে নিক্সনের নির্দেশে ডেমোক্র্যাট পার্টি অফিসে বসানো হয়েছিল আড়িপাতা যন্ত্র। আর এ বিষয়টি ওয়াশিংটন পোস্ট গুরুত্বের সাথে ছাপে। ওই সময়ের দিনগুলোতে মার্কিন অভ্যন্তরীণ গোয়েন্দা সংস্থা এফবিআই’র ওপর নিক্সন প্রশাসনের খবরদারি চলছিল। অন্য দিকে এফবিআই চাচ্ছিল প্রশাসনের খবরদারি থেকে মুক্তি এবং আরো বেশি স্বাধীনতার। এ নিয়ে হোয়াইট হাইসের সাথে এফবিআই’র চলছিল ঠাণ্ডা লড়াই। সেই লড়াইয়ে নিক্সন প্রশাসনকে বিব্রতকর অবস্থায় ফেলতে ডেমোক্র্যাট অফিসে আড়িপাতার খবর পত্রিকায় সরবরাহ করেছিলেন এফবিআই’র দ্বিতীয় শীর্ষ ও মার্কিন প্রশাসনের অত্যন্ত বিশ্বস্ত ব্যক্তি মার্ক ফেল্ট। আর এই দায় নিয়েই পদত্যাগ করতে হয়েছিল যুক্তরাষ্ট্রের প্রভাবশালী ও...

একটি ভুল মৃত্যুসংবাদ জন্ম দেয় নোবেল প্রাইজের

Image
একটি ভুল মৃত্যুসংবাদ জন্ম দেয় নোবেল প্রাইজের নোবেল পুরস্কার। বিশ্বের সবচেয়ে সুপরিচিত ও মর্যাদাপূর্ণ পুরস্কার। কিন্তু আমরা ক’জনই বা জানি, সংবাদপত্রে একটি ভুল শিরোনাম প্রকাশিত না হলে হয়তো সৃষ্টিই হতো না সম্মানজনক ও মর্যাদাপূর্ণ এই নোবেল পুরস্কার। ফ্রান্সের একটি সংবাদপত্রে ছাপা হয়েছিল এই ভুল সংবাদ শিরোনামটি। প্রকাশকাল ১৮৮৮ সাল। শিরোনামটি ছিল একটি মৃত্যুসংবাদের। খবরটিতে বড় ভুল ছিল, খবরে যে ব্যক্তিটি মারা গেলেন, তার কথা নয়, বলা হলো মারা গেছেন অন্য আরেকজন। শুধু ভুল ব্যক্তিটির মারা যাওয়ার খবরই ছেপে পত্রিকাটি থেমে থাকেনি, পাশাপাশি ওই ব্যক্তির কঠোর সমালোচনাও করা হলো । আসলে ১৮৮৮ সালে মার্চে মারা যান  Ludvig Nobel , তিনি কিন্তু নোবেল পুরস্কারের জনক  Alfred Bernhard Nobel  নন। লুদবিগ নোবেল ছিলেন তার বড় ভাই। লুদবিগ ছিলেন তুখোড় এক প্রকৌশলী, ভালো ব্যবসায়ী ও অসাধারণ মানবিক। তিনি মারা যান ফ্রান্সের ক্যানসিসে। অথচ স্থানীয় একটি সংবাদপত্র খবর ছাপল এই বলে যে, আলফ্রেড বার্নহার্ড নোবেল মারা গেছেন। কিন্তু তিনি তখনো যথারীতি বেঁচে ছিলেন। তিনি বিখ্যাত এক আবিষ্কারক ও বিখ্যাত রসায়নবিদ। সংবাদ...

মিয়ানমারের সমরশক্তি

Image
মিয়ানমারের সমরশক্তি দক্ষিণ এশিয়ার সামরিক শাসিত দেশ মিয়ানমার। মোট আয়তন ছয় লাখ ৭৬ হাজার ৫৫২ বর্গকিলোমিটার। উত্তর-দক্ষিনে এর দৈর্ঘ্য প্রায় দুই হাজার ৮৫ কিলোমিটার। সর্বপশ্চিমে এর সর্বোচ্চ বিস্তার প্রায় ৯৩০ কিলোমিটার। উপকূলীয় এলাকাটি নিম্ন মিয়ানমার ও অভ্যন্তরীণ অংশটি ঊর্ধ্ব মিয়ানমার নামে পরিচিত। অশ্বখুরাকৃতি পর্বতব্যবস্থা ও ইরাবতী নদীর উপত্যকা দেশটির ভূ-সংস্থানের প্রধান বৈশিষ্ট্য। উত্তরের পর্বতগুলোর সর্বোচ্চশৃঙ্গ হকাকাবো রাজির উচ্চতা ৫ হাজার ৮৮১ মিটার। এটি দক্ষিন-পূর্ব এশিয়ার সর্বোচ্চশৃঙ্গ। আরো দু’টি পর্বতব্যবস্থা উত্তর থেকে দক্ষিনে বিস্তৃত। আরাকান ইয়োমা পর্বতমালাটি মিয়ানমার ও ভারতীয় উপমহাদেশের মধ্যে একটি প্রাচীরের সৃষ্টি করেছে। এর পর্বতগুলোর উচ্চতা প্রধানত ৯১৫ মিটার থেকে ১ হাজার ৫২৫ মিটার পর্যন্ত। অন্য দিকে শান মালভূমি থেকে বিলাউকতাউং পর্বতশ্রেণীটি প্রসারিত হয়ে দণি-পূর্ব নিম্ন মিয়ানমার ও দণি-পশ্চিম থাইল্যান্ডের সীমান্ত বরাবর চলে গেছে। শান মালভূমিটি চীন থেকে প্রসারিত হয়েছে। এর গড় উচ্চতা প্রায় ১ হাজার ২১৫ মিটার। মিয়ানমারের অভ্যন্তরভাগে কেন্দ্রীয় নিম্নভূমিগুলো মূলত সরু ও দীর্ঘ। এগ...