ভারতের সমর সজ্জা
বিশ্বে সামরিক ব্যয়ের পরিমাণ বিবেচনায় ভারতের অবস্থান নবম। আর অস্ত্র আমদানিকারক দেশগুলোর মধ্যে দেশটি আছে এক নম্বরে। স্টকহোম ইন্টারন্যাশনাল পিচ রিসার্চ ইনস্টিটিউট (এসআইপিআরআই) সম্প্রতি যে তথ্য-উপাত্ত প্রকাশ করেছে তাতে এমনটিই উল্লেখ রয়েছে। গত ১৪ এপ্রিলে এসআইপিআরআই এই তথ্য-পরিসংখ্যান প্রকাশ করে। আন্তর্জাতিক অস্ত্র স্থানান্তর প্রবণতা সম্পর্কিত যে তথ্য-পরিসংখ্যান তুলে ধরা হয় সে মতে, ২০০৯-১৩ সময়ে ভারত বিশ্বের সবচেয়ে বড় অস্ত্র আমদানিকারক দেশ হিসেবে আবির্ভূত হয়। উল্লেখ্য, এসআইপিআরআই আন্তর্জাতিক দ্বন্দ্ব, অস্ত্রসজ্জা, অস্ত্র নিয়ন্ত্রণ ও অস্ত্র নিরোধ সম্পর্কিত গবেষণায় নিয়োজিত একটি সুখ্যাত প্রতিষ্ঠান।
অস্ত্র ব্যয় ও স্থানান্তর
এসআইপিআরআইর প্রকাশিত তথ্যমতে, ২০১৩ বিশ্বে গ্রস ডমেস্টিক প্রোডাক্টের তথা জিডিপির ২.৪ শতাংশ খরচ হয়ে যায় সামরিক খাতে। প্রকৃত প্রস্তাবে এই হার ২০১২ সালের চেয়ে ১.৯ শতাংশ তম। আর বিশ্বের সামরিক খাতের এই খরচের মোট পরিমাণ ১.৭৫ ট্রিুলয়ন ডলার। পশ্চিমা দেশগুলোতে সামরিক ব্যয় কমে যাওয়া অব্যাহত আছে। এই ব্যয় কমানোর ক্ষেত্রে শীর্ষস্থানে রয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। কিন্তু বিশ্বের সব অঞ্চলে সামরিক ব্যয় বেড়েছে। আসলে যুক্তরাষ্ট্র বাদ দিলে বাকি বিশ্বে সামরিক ব্যয় বেড়েছে ১.৮ শতাংশ। ২০০৯-১৩ সময়ে ২০০৪-০৯ সময়ের চেয়ে প্রধান প্রধান অস্ত্রের স্থানান্তর বেড়েছে ১৪ শতাংশ। ২০০৯-১৩ সময়ে সবচেয়ে বড় অস্ত্র রফতানিকারক পাঁচটি দেশ হচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র, রাশিয়া, জার্মানি, চীন ও ফ্রান্স। আর এই সময়ে সবচেয়ে বড় পাঁচটি অস্ত্র আমদানিকারক দেশ হচ্ছে ভারত, পাকিস্তান, সংযুক্ত আরব আমিরাত ও সৌদি আরব।
ভারতের আমদানিনির্ভরতা
ভারত তার অস্ত্র আমদানির পরিধি ক্রমেই বাড়িয়েই চলেছে। কারণ ভারত মনে করে তাদের দেশটি প্রতিবেশী চীন ও পাকিস্তানের সামরিক হামলার শিকারে পরিণত হতে পারে। আর এ দু’টি দেশই সামরিক দিক থেকে সুসজ্জিত। তা ছাড়া দেশটি নিজেদের তৈরি অস্ত্র দিয়ে নিজেকে সামরিকভাবে সুসজ্জিত করতে ব্যর্থ হয়েছে। এর ফলে তাদের অস্ত্র চাহিদা মেটাতে বিদেশী অস্ত্র উৎপাদকের ওপর নির্ভর করতে হচ্ছে। ভারত আশা করছে, আগামী কয়েক বছরে অস্ত্র কেনার পেছনে ১০ হাজার কোটি ডলারেরও বেশি খরচ করবে। দেশটি এরই মধ্যে বেশ কয়েকটি অস্ত্র ক্রয়চুক্তি স্বাক্ষর করেছে। তবে বেশ কয়েকটি চুক্তি নিয়ে এরই মধ্যে বিতর্কের সৃষ্টি হয়েছে। মজার ব্যাপার হলো, ভারতীয় অস্ত্র আমদানির পরিমাণে যুক্তরাষ্ট্রের অংশের পরিমাণ ক্রমেই বেড়েই চলেছে, যদিও রাশিয়াই ভারতের মূল অস্ত্র সরবরাহকারী দেশ হিসেবেই রয়ে গেছে।
চীনের পরই ভারতের রয়েছে দ্বিতীয় বৃহত্তম স্ট্যান্ডিং আর্মি। এর প্রতিরক্ষা বাজেটের একটা বড় অংশ খরচ হয় সার্ভিসিং রেভিনিউ এক্সপেন্ডিচারের পেছনে। প্রতিরক্ষা বিশেষজ্ঞদের অভিমত, মূলধন খরচ মূলত চলে যায় সেনাবাহিনীর আধুনিকায়নের চাহিদা মেটাতে গিয়ে। ভারতের সেনাবাহিনীর আধুনিকায়ন পরিস্থিতি এখনো প্রত্যাশিত পর্যায়ে নেই।
চীনের উত্থান
এশিয়া ওসেনিয়া অঞ্চলে ২০১৩ সালে সামরিক ব্যয় বেড়েছে ৩.৬ শতাংশ। এ ব্যয় এরই মধ্যে পৌঁছে গেছে ৪০,৭০০ কোটি ডলারে। এই অঞ্চল দু’টিতে এই সামরিক ব্যয় বেড়েছে মূলত চীনের সামরিক ব্যয় ৭.৪ শতাংশ বেড়ে যাওয়ার ফলে। দেশটির বছরে সামরিক ব্যয়ের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ১৮,৮০০ কোটি ডলার।
অস্ত্র ব্যয় ও স্থানান্তর
এসআইপিআরআইর প্রকাশিত তথ্যমতে, ২০১৩ বিশ্বে গ্রস ডমেস্টিক প্রোডাক্টের তথা জিডিপির ২.৪ শতাংশ খরচ হয়ে যায় সামরিক খাতে। প্রকৃত প্রস্তাবে এই হার ২০১২ সালের চেয়ে ১.৯ শতাংশ তম। আর বিশ্বের সামরিক খাতের এই খরচের মোট পরিমাণ ১.৭৫ ট্রিুলয়ন ডলার। পশ্চিমা দেশগুলোতে সামরিক ব্যয় কমে যাওয়া অব্যাহত আছে। এই ব্যয় কমানোর ক্ষেত্রে শীর্ষস্থানে রয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। কিন্তু বিশ্বের সব অঞ্চলে সামরিক ব্যয় বেড়েছে। আসলে যুক্তরাষ্ট্র বাদ দিলে বাকি বিশ্বে সামরিক ব্যয় বেড়েছে ১.৮ শতাংশ। ২০০৯-১৩ সময়ে ২০০৪-০৯ সময়ের চেয়ে প্রধান প্রধান অস্ত্রের স্থানান্তর বেড়েছে ১৪ শতাংশ। ২০০৯-১৩ সময়ে সবচেয়ে বড় অস্ত্র রফতানিকারক পাঁচটি দেশ হচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র, রাশিয়া, জার্মানি, চীন ও ফ্রান্স। আর এই সময়ে সবচেয়ে বড় পাঁচটি অস্ত্র আমদানিকারক দেশ হচ্ছে ভারত, পাকিস্তান, সংযুক্ত আরব আমিরাত ও সৌদি আরব।
ভারতের আমদানিনির্ভরতা
ভারত তার অস্ত্র আমদানির পরিধি ক্রমেই বাড়িয়েই চলেছে। কারণ ভারত মনে করে তাদের দেশটি প্রতিবেশী চীন ও পাকিস্তানের সামরিক হামলার শিকারে পরিণত হতে পারে। আর এ দু’টি দেশই সামরিক দিক থেকে সুসজ্জিত। তা ছাড়া দেশটি নিজেদের তৈরি অস্ত্র দিয়ে নিজেকে সামরিকভাবে সুসজ্জিত করতে ব্যর্থ হয়েছে। এর ফলে তাদের অস্ত্র চাহিদা মেটাতে বিদেশী অস্ত্র উৎপাদকের ওপর নির্ভর করতে হচ্ছে। ভারত আশা করছে, আগামী কয়েক বছরে অস্ত্র কেনার পেছনে ১০ হাজার কোটি ডলারেরও বেশি খরচ করবে। দেশটি এরই মধ্যে বেশ কয়েকটি অস্ত্র ক্রয়চুক্তি স্বাক্ষর করেছে। তবে বেশ কয়েকটি চুক্তি নিয়ে এরই মধ্যে বিতর্কের সৃষ্টি হয়েছে। মজার ব্যাপার হলো, ভারতীয় অস্ত্র আমদানির পরিমাণে যুক্তরাষ্ট্রের অংশের পরিমাণ ক্রমেই বেড়েই চলেছে, যদিও রাশিয়াই ভারতের মূল অস্ত্র সরবরাহকারী দেশ হিসেবেই রয়ে গেছে।
চীনের পরই ভারতের রয়েছে দ্বিতীয় বৃহত্তম স্ট্যান্ডিং আর্মি। এর প্রতিরক্ষা বাজেটের একটা বড় অংশ খরচ হয় সার্ভিসিং রেভিনিউ এক্সপেন্ডিচারের পেছনে। প্রতিরক্ষা বিশেষজ্ঞদের অভিমত, মূলধন খরচ মূলত চলে যায় সেনাবাহিনীর আধুনিকায়নের চাহিদা মেটাতে গিয়ে। ভারতের সেনাবাহিনীর আধুনিকায়ন পরিস্থিতি এখনো প্রত্যাশিত পর্যায়ে নেই।
চীনের উত্থান
এশিয়া ওসেনিয়া অঞ্চলে ২০১৩ সালে সামরিক ব্যয় বেড়েছে ৩.৬ শতাংশ। এ ব্যয় এরই মধ্যে পৌঁছে গেছে ৪০,৭০০ কোটি ডলারে। এই অঞ্চল দু’টিতে এই সামরিক ব্যয় বেড়েছে মূলত চীনের সামরিক ব্যয় ৭.৪ শতাংশ বেড়ে যাওয়ার ফলে। দেশটির বছরে সামরিক ব্যয়ের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ১৮,৮০০ কোটি ডলার।
Comments