পশ্চিমা জগতের উপর রাশিয়ার নিষেধাজ্ঞা
![]() |
পশ্চিমা জগতের উপর রাশিয়ার নিষেধাজ্ঞা |
Daily Amardesh.com
Aug 9 2014 Saturday
পশ্চিমা জগতের উপর রাশিয়ার নিষেধাজ্ঞা
ইউক্রেন সঙ্কটকে কেন্দ্র করে পশ্চিমা জগত রাশিয়ার উপর
এতকাল একের পর এক নিষেধাজ্ঞা চাপিয়ে আসছিল। এবার রাশিয়াও সেসব দেশের উপর পালটা নিষেধাজ্ঞা
চাপাচ্ছে। এর আওতায় আপাতত কিছু খাদ্য আমদানি বন্ধ করা হচ্ছে।
বৃহস্পতিবার রাশিয়ার সরকার পশ্চিমা বিশ্বের অনেক দেশ থেকে কয়েকটি খাদ্য আমদানি বন্ধ করে দিয়েছে। প্রেসিডেন্ট ভদ্মাদিমির পুতিন বিদেশি নিষেধাজ্ঞার পালটা পদক্ষেপ হিসেবে সরকারকে এই নির্দেশ দিয়েছিলেন। তারপর প্রধানমন্ত্রী দিমিত্রি মেদভেদেভ এই ঘোষণা করেন।
এই নিষেধাজ্ঞার আওতায় আগামী এক বছর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, ইউরোপীয় ইউনিয়নের সব দেশ, নরওয়ে, কানাডা ও অস্ট্রেলিয়া থেকে মাছ, মাংস, দুগ্ধজাত পণ্য, ফল ও তরিতরকারি রাশিয়ায় প্রবেশ করবে না।
উল্লেখ্য, গত বছর রাশিয়ার খাদ্য আমদানির অঙ্ক ছিল প্রায় ৪,৩০০ কোটি ডলার। রাশিয়ার সাধারণ মানুষ যাতে এর ফলে ক্ষতিগ্রস্ত না হয়, সে দিকেও নজর রাখার নির্দেশ দিয়েছেন পুতিন। কৃষিমন্ত্রী নিকোলাই ফিয়োদরভ স্বীকার করেন যে, এই নিষেধাজ্ঞার ফলে স্বল্পমেয়াদি ভিত্তিতে মূল্যস্ফীতি দেখা যেতে পারে, তবে তারপর বিপদ কেটে যাবে। তাছাড়া ব্রাজিল ও নিউজিল্যান্ডের মতো দেশ থেকে মাংস আমদানি করে ঘাটতিও অনেকটা মেটানো যাবে।
নেদারল্যান্ডসসহ ইউরোপীয় ইউনিয়নের কিছু দেশ এই নিষেধাজ্ঞার ফলে ক্ষতির মুখ দেখবে। কিন্তু বিশেষজ্ঞদের মতে, রাশিয়ার এই পদক্ষেপের ফলে শেষ পর্যন্ত রুশ ক্রেতাদেরই ক্ষতি হবে। কারণ বর্তমান অস্থিরতার ফলে রুবলের বিনিময় মূল্য কমে যাচ্ছে। দ্রব্যমূল্য বেড়েই চলেছে। নিষেধাজ্ঞার ফলে অনেক পণ্যের সরবরাহ কমে যাচ্ছে। দেশ থেকে মূলধন চলে যাওয়ায় অর্থনীতি সামগ্রিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। তবে পশ্চিমা দেশ থেকে যে সব দামি খাদ্য আমদানি বন্ধ হচ্ছে, তার একটা বড় অংশ এতকাল মূলত উচ্চবিত্তদেরই নাগালে ছিল।
পরবর্তী পদক্ষেপ হিসেবে মস্কো পশ্চিমা দেশগুলোর বিমান সংস্থাগুলোর কাছ থেকে রাশিয়ার আকাশসীমা ব্যবহারের অধিকার কেড়ে নিতে পারে। তখন তাদের বিকল্প পথ খুঁজতে হবে। কিন্তু সে ক্ষেত্রে রাশিয়ারও আর্থিক ক্ষতি হবে। বৃহস্পতিবারই রাশিয়ায় রাজনৈতিক আশ্রয় নেয়া এনএসএ কনট্র্যাক্টর এডোয়ার্ড স্নোডেন তিন বছরের ভিসা পেয়েছেন। ২০১৮ সালে তিনি রুশ নাগরিকত্বের জন্যও আবেদন করতে পারেন। এর মাধ্যমে ওয়াশিংটনের উদ্দেশ্যে কড়া বার্তা পাঠাতে চেয়েছে মস্কো।
এদিকে ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চলে যেখানে মালয়েশীয় বিমান বিধ্বস্ত হয়েছিল, সেখানে নেদারল্যান্ডস-এর তদন্ত দল তাদের কাজ বন্ধ করে দিতে বাধ্য হয়েছে। সেনাবাহিনী ও রুশপন্থি বিদ্রোহীদের সংঘষের্র ফলে সেখানকার পরিস্থিতি অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠেছে বলে তাঁরা মনে করেন। এই সিদ্ধান্তের কথা জেনে ইউক্রেনের সরকার বলেছে, সে ক্ষেত্রে তারাও ওই অঞ্চলে আর যুদ্ধবিরতি মেনে চলবে না।
ইউক্রেনের জন্য পশ্চিমা বিশ্বের সামরিক সহায়তার সম্ভাবনা নিয়েও আলোচনা চলছে। বৃহস্পতিবার ন্যাটোর মহাসচিব আন্ডার্স ফগ রাসমুসেন ও ইউক্রেনের প্রধানমন্ত্রী আর্সেনি ইয়াতসেনিয়ুক। রাজধানী কিয়েভে প্রস্তাবিত ‘ন্যাটো ট্রাস্ট ফান্ড’ নিয়ে কথা বলেন। এখনই সরাসরি অস্ত্র সরবরাহ করার কথা হচ্ছে না। তবে ইউক্রেনের সেনাবাহিনীর কমান্ড ও কনট্রোল, যোগাযোগ ব্যবস্থা, সাইবার প্রতিরক্ষা ইত্যাদি ক্ষেত্রে ন্যাটো সহায়তা করতে পারে। সূত্র : ডিডব্লিউ
বৃহস্পতিবার রাশিয়ার সরকার পশ্চিমা বিশ্বের অনেক দেশ থেকে কয়েকটি খাদ্য আমদানি বন্ধ করে দিয়েছে। প্রেসিডেন্ট ভদ্মাদিমির পুতিন বিদেশি নিষেধাজ্ঞার পালটা পদক্ষেপ হিসেবে সরকারকে এই নির্দেশ দিয়েছিলেন। তারপর প্রধানমন্ত্রী দিমিত্রি মেদভেদেভ এই ঘোষণা করেন।
এই নিষেধাজ্ঞার আওতায় আগামী এক বছর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, ইউরোপীয় ইউনিয়নের সব দেশ, নরওয়ে, কানাডা ও অস্ট্রেলিয়া থেকে মাছ, মাংস, দুগ্ধজাত পণ্য, ফল ও তরিতরকারি রাশিয়ায় প্রবেশ করবে না।
উল্লেখ্য, গত বছর রাশিয়ার খাদ্য আমদানির অঙ্ক ছিল প্রায় ৪,৩০০ কোটি ডলার। রাশিয়ার সাধারণ মানুষ যাতে এর ফলে ক্ষতিগ্রস্ত না হয়, সে দিকেও নজর রাখার নির্দেশ দিয়েছেন পুতিন। কৃষিমন্ত্রী নিকোলাই ফিয়োদরভ স্বীকার করেন যে, এই নিষেধাজ্ঞার ফলে স্বল্পমেয়াদি ভিত্তিতে মূল্যস্ফীতি দেখা যেতে পারে, তবে তারপর বিপদ কেটে যাবে। তাছাড়া ব্রাজিল ও নিউজিল্যান্ডের মতো দেশ থেকে মাংস আমদানি করে ঘাটতিও অনেকটা মেটানো যাবে।
নেদারল্যান্ডসসহ ইউরোপীয় ইউনিয়নের কিছু দেশ এই নিষেধাজ্ঞার ফলে ক্ষতির মুখ দেখবে। কিন্তু বিশেষজ্ঞদের মতে, রাশিয়ার এই পদক্ষেপের ফলে শেষ পর্যন্ত রুশ ক্রেতাদেরই ক্ষতি হবে। কারণ বর্তমান অস্থিরতার ফলে রুবলের বিনিময় মূল্য কমে যাচ্ছে। দ্রব্যমূল্য বেড়েই চলেছে। নিষেধাজ্ঞার ফলে অনেক পণ্যের সরবরাহ কমে যাচ্ছে। দেশ থেকে মূলধন চলে যাওয়ায় অর্থনীতি সামগ্রিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। তবে পশ্চিমা দেশ থেকে যে সব দামি খাদ্য আমদানি বন্ধ হচ্ছে, তার একটা বড় অংশ এতকাল মূলত উচ্চবিত্তদেরই নাগালে ছিল।
পরবর্তী পদক্ষেপ হিসেবে মস্কো পশ্চিমা দেশগুলোর বিমান সংস্থাগুলোর কাছ থেকে রাশিয়ার আকাশসীমা ব্যবহারের অধিকার কেড়ে নিতে পারে। তখন তাদের বিকল্প পথ খুঁজতে হবে। কিন্তু সে ক্ষেত্রে রাশিয়ারও আর্থিক ক্ষতি হবে। বৃহস্পতিবারই রাশিয়ায় রাজনৈতিক আশ্রয় নেয়া এনএসএ কনট্র্যাক্টর এডোয়ার্ড স্নোডেন তিন বছরের ভিসা পেয়েছেন। ২০১৮ সালে তিনি রুশ নাগরিকত্বের জন্যও আবেদন করতে পারেন। এর মাধ্যমে ওয়াশিংটনের উদ্দেশ্যে কড়া বার্তা পাঠাতে চেয়েছে মস্কো।
এদিকে ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চলে যেখানে মালয়েশীয় বিমান বিধ্বস্ত হয়েছিল, সেখানে নেদারল্যান্ডস-এর তদন্ত দল তাদের কাজ বন্ধ করে দিতে বাধ্য হয়েছে। সেনাবাহিনী ও রুশপন্থি বিদ্রোহীদের সংঘষের্র ফলে সেখানকার পরিস্থিতি অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠেছে বলে তাঁরা মনে করেন। এই সিদ্ধান্তের কথা জেনে ইউক্রেনের সরকার বলেছে, সে ক্ষেত্রে তারাও ওই অঞ্চলে আর যুদ্ধবিরতি মেনে চলবে না।
ইউক্রেনের জন্য পশ্চিমা বিশ্বের সামরিক সহায়তার সম্ভাবনা নিয়েও আলোচনা চলছে। বৃহস্পতিবার ন্যাটোর মহাসচিব আন্ডার্স ফগ রাসমুসেন ও ইউক্রেনের প্রধানমন্ত্রী আর্সেনি ইয়াতসেনিয়ুক। রাজধানী কিয়েভে প্রস্তাবিত ‘ন্যাটো ট্রাস্ট ফান্ড’ নিয়ে কথা বলেন। এখনই সরাসরি অস্ত্র সরবরাহ করার কথা হচ্ছে না। তবে ইউক্রেনের সেনাবাহিনীর কমান্ড ও কনট্রোল, যোগাযোগ ব্যবস্থা, সাইবার প্রতিরক্ষা ইত্যাদি ক্ষেত্রে ন্যাটো সহায়তা করতে পারে। সূত্র : ডিডব্লিউ
Comments