রাষ্ট্র ক্রমাগত ফ্যাসিস্ট রূপ নিচ্ছে
Daily Amardesh.com
Aug 9 2014 Saturday
গোলটেবিল বৈঠকে বিশিষ্টজনরা : রাষ্ট্র
ক্রমাগত ফ্যাসিস্ট রূপ নিচ্ছে
রাষ্ট্র ক্রমাগত ফ্যাসিস্ট রাষ্ট্রে পরিণত হচ্ছে, আর
এর জন্য যা যা দরকার সবকিছু্ই করছে সরকার। ত্বকী হত্যার মতো সরকার একটার পর একটা ঘটনা
ঘটিয়ে তার আগের ঘটনা ধামাচাপা দিচ্ছে, যা রাষ্ট্রের চরিত্রের সমস্যায় পরিণত হচ্ছে।
তাই শুধু সরকারের পরিবর্তন হলেই চলবে না, রাষ্ট্রের চরিত্রের পরিবর্তন ছাড়া দেশে সুশাসন
সম্ভব নয়।
গতকাল শুক্রবার দুপুরে জাতীয় প্রেস ক্লাব ভিআইপি লাউঞ্জে সন্ত্রাস নির্মূল ত্বকী মঞ্চ আয়োজিত ‘ত্বকী হত্যা : বিচার প্রক্রিয়ায় রাষ্ট্রের ভূমিকা সুশাসন ও গণতন্ত্রের অন্তরায়’ শীর্ষক গোলটেবিল বৈঠকে তারা এসব কথা বলেন।
ত্বকীর বাবা ও সংগঠনের আহ্বায়ক রফিউর রাব্বির সভাপতিত্বে এতে বক্তব্য দেন উদীচীর সভাপতি কামাল লোহানী, বাসদ নেতা খালেকুজ্জামান, শিক্ষাবিদ অধ্যাপক আনোয়ার হোসেন, মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের ট্রাস্টি ড. সারোয়ার আলী, শিক্ষাবিদ ড. সরফুদ্দিন, অধ্যাপক সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী, রাজনীতিবিদ অজয় রায় প্রমুখ।
কামাল লোহানী বলেন, প্রধানমন্ত্রী ত্বকী হত্যার বিচার করার প্রতিশ্রুতি দিলেও এর বিচার করেননি। এতে প্রমাণিত হয়, প্রধানমন্ত্রী প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নে ব্যর্থ। তার কথার কোনো ভিত্তি নেই।
লোহানী বলেন, সংসদে শামীম ওসমানের পরিবারের পক্ষ নেয়ায় শেখ হাসিনার প্রধানমন্ত্রিত্ব চলে যাওয়ার কথা কিন্তু ক্ষমতার জোরেই তিনি সরকারে টিকে আছেন।
কামাল লোহানী বলেন, ত্বকী হত্যার পরে প্রধানমন্ত্রী বলেছিলেন, আজ হোক আর কাল হোক এর বিচার হবে। কিন্তু দেড় বছর পার হলেও আজ পর্যন্ত সে বিচার হয়নি। এতে প্রমাণিত হলো প্রধানমন্ত্রীর কথার কোনো মূল্য নেই। তাই সব হত্যার বিচার পেতে ত্বকী মঞ্চের আন্দোলনকে গণ-আন্দোলনে রূপ দিতে হবে।
সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, রাষ্ট্র ক্রমাগত ফ্যাসিস্ট রাষ্ট্রে পরিণত হচ্ছে, আর এর জন্য যা যা দরকার সবকিছু্ই করছে সরকার। তারা সম্প্রচার নীতি করেছে, আমরা যাতে ভবিষ্যতে ত্বকীর মতো কোনো ঘটনা হলে তার বিচার না চাইতে পারি, সেই ব্যবস্থা করছে।
ত্বকীর বাবা রফিউর রাব্বি বলেন, খুনিদের বাঁচাতে সরকার সব ধরনের ব্যবস্থা নিচ্ছে। এ মামলার শুধু তদন্তকারীরা নয়, প্রধানমন্ত্রী থেকে শুরু করে দেশের জনগণ জানে ত্বকীকে কত নির্মমভাবে হত্যা করা হয়েছে।
এ সময় সরকারের কাছে প্রশ্ন রেখে ত্বকীর বাবা বলেন, সাগর-রুনি হত্যার পর সরকারের মন্ত্রীরা বলেছিলেন কারো বেডরুম পাহারা দেয়ার দায়িত্ব সরকারের নয়। তাহলে আমাদের বেডরুম কি স্বাধীন বাংলার বাইরে? তাছাড়া ত্বকীকে তো বেডরুমে নয়, রাস্তায় হত্যা করা হয়েছে। তাহলে এর দায়িত্ব কে নেবে?
বাসদ নেতা খালেকুজ্জামান বলেন, বাংলার মানুষের মনে আগুন আছে। একটি স্বাধীন দেশ এভাবে বেশি দিন চলতে পারে না। অচিরেই রাষ্ট্র ব্যবস্থার পরিবর্তন হতে হবে।
শিক্ষাবিদ অধ্যাপক আনোয়ার হোসেন প্রধানমন্ত্রীকে উদ্দেশ করে বলেন, শুধু একটি পরিবারের নয়, দেশের ১৬ কোটি মানুষের পাশে আপনার থাকার কথা। কিন্তু শামীম ওসমানের পরিবারের পাশে থাকার ঘোষণা দিয়ে আপনি দায়িত্বের ব্যত্যয় ঘটিয়েছেন।
মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের ট্রাস্টি ড. সারোয়ার আলী বলেন, নারায়ণগঞ্জকে একটি পরিবার শাসন করছে যার বিরুদ্ধে কথা বললে তাদের নিশ্চিহ্ন করে দেয়া হয়। তারপরও সরকারপ্রধান পরিবারটির পক্ষ নিচ্ছেন। রাজনীতি ও প্রশাসনের সর্বত্রই দুষ্টচক্র গ্রাস করে ফেলেছে। গডফাদার শুধু নারায়ণগঞ্জে নয়, সারা দেশই গডফাদারে ভরে গেছে।
প্রধানমন্ত্রীর আঁঁচলে আবৃত বিচারকরা কেন সুষ্ঠু বিচার করছেন না—এমন প্রশ্ন রেখে শিক্ষাবিদ ড. সরফুদ্দিন বলেন, বিচার না করে আপনারা জনগণকে জাগিয়ে দিচ্ছেন। এর পরিণতি ঘটবে রাষ্ট্রক্ষমতা পরিবর্তনের মধ্য দিয়ে।
গতকাল শুক্রবার দুপুরে জাতীয় প্রেস ক্লাব ভিআইপি লাউঞ্জে সন্ত্রাস নির্মূল ত্বকী মঞ্চ আয়োজিত ‘ত্বকী হত্যা : বিচার প্রক্রিয়ায় রাষ্ট্রের ভূমিকা সুশাসন ও গণতন্ত্রের অন্তরায়’ শীর্ষক গোলটেবিল বৈঠকে তারা এসব কথা বলেন।
ত্বকীর বাবা ও সংগঠনের আহ্বায়ক রফিউর রাব্বির সভাপতিত্বে এতে বক্তব্য দেন উদীচীর সভাপতি কামাল লোহানী, বাসদ নেতা খালেকুজ্জামান, শিক্ষাবিদ অধ্যাপক আনোয়ার হোসেন, মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের ট্রাস্টি ড. সারোয়ার আলী, শিক্ষাবিদ ড. সরফুদ্দিন, অধ্যাপক সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী, রাজনীতিবিদ অজয় রায় প্রমুখ।
কামাল লোহানী বলেন, প্রধানমন্ত্রী ত্বকী হত্যার বিচার করার প্রতিশ্রুতি দিলেও এর বিচার করেননি। এতে প্রমাণিত হয়, প্রধানমন্ত্রী প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নে ব্যর্থ। তার কথার কোনো ভিত্তি নেই।
লোহানী বলেন, সংসদে শামীম ওসমানের পরিবারের পক্ষ নেয়ায় শেখ হাসিনার প্রধানমন্ত্রিত্ব চলে যাওয়ার কথা কিন্তু ক্ষমতার জোরেই তিনি সরকারে টিকে আছেন।
কামাল লোহানী বলেন, ত্বকী হত্যার পরে প্রধানমন্ত্রী বলেছিলেন, আজ হোক আর কাল হোক এর বিচার হবে। কিন্তু দেড় বছর পার হলেও আজ পর্যন্ত সে বিচার হয়নি। এতে প্রমাণিত হলো প্রধানমন্ত্রীর কথার কোনো মূল্য নেই। তাই সব হত্যার বিচার পেতে ত্বকী মঞ্চের আন্দোলনকে গণ-আন্দোলনে রূপ দিতে হবে।
সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, রাষ্ট্র ক্রমাগত ফ্যাসিস্ট রাষ্ট্রে পরিণত হচ্ছে, আর এর জন্য যা যা দরকার সবকিছু্ই করছে সরকার। তারা সম্প্রচার নীতি করেছে, আমরা যাতে ভবিষ্যতে ত্বকীর মতো কোনো ঘটনা হলে তার বিচার না চাইতে পারি, সেই ব্যবস্থা করছে।
ত্বকীর বাবা রফিউর রাব্বি বলেন, খুনিদের বাঁচাতে সরকার সব ধরনের ব্যবস্থা নিচ্ছে। এ মামলার শুধু তদন্তকারীরা নয়, প্রধানমন্ত্রী থেকে শুরু করে দেশের জনগণ জানে ত্বকীকে কত নির্মমভাবে হত্যা করা হয়েছে।
এ সময় সরকারের কাছে প্রশ্ন রেখে ত্বকীর বাবা বলেন, সাগর-রুনি হত্যার পর সরকারের মন্ত্রীরা বলেছিলেন কারো বেডরুম পাহারা দেয়ার দায়িত্ব সরকারের নয়। তাহলে আমাদের বেডরুম কি স্বাধীন বাংলার বাইরে? তাছাড়া ত্বকীকে তো বেডরুমে নয়, রাস্তায় হত্যা করা হয়েছে। তাহলে এর দায়িত্ব কে নেবে?
বাসদ নেতা খালেকুজ্জামান বলেন, বাংলার মানুষের মনে আগুন আছে। একটি স্বাধীন দেশ এভাবে বেশি দিন চলতে পারে না। অচিরেই রাষ্ট্র ব্যবস্থার পরিবর্তন হতে হবে।
শিক্ষাবিদ অধ্যাপক আনোয়ার হোসেন প্রধানমন্ত্রীকে উদ্দেশ করে বলেন, শুধু একটি পরিবারের নয়, দেশের ১৬ কোটি মানুষের পাশে আপনার থাকার কথা। কিন্তু শামীম ওসমানের পরিবারের পাশে থাকার ঘোষণা দিয়ে আপনি দায়িত্বের ব্যত্যয় ঘটিয়েছেন।
মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের ট্রাস্টি ড. সারোয়ার আলী বলেন, নারায়ণগঞ্জকে একটি পরিবার শাসন করছে যার বিরুদ্ধে কথা বললে তাদের নিশ্চিহ্ন করে দেয়া হয়। তারপরও সরকারপ্রধান পরিবারটির পক্ষ নিচ্ছেন। রাজনীতি ও প্রশাসনের সর্বত্রই দুষ্টচক্র গ্রাস করে ফেলেছে। গডফাদার শুধু নারায়ণগঞ্জে নয়, সারা দেশই গডফাদারে ভরে গেছে।
প্রধানমন্ত্রীর আঁঁচলে আবৃত বিচারকরা কেন সুষ্ঠু বিচার করছেন না—এমন প্রশ্ন রেখে শিক্ষাবিদ ড. সরফুদ্দিন বলেন, বিচার না করে আপনারা জনগণকে জাগিয়ে দিচ্ছেন। এর পরিণতি ঘটবে রাষ্ট্রক্ষমতা পরিবর্তনের মধ্য দিয়ে।
Comments