আত্মহত্যাকারী মুক্তিযোদ্ধা পরিবারকে আর্থিক সহযোগিতা করলেন দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া
আত্মহত্যাকারী মুক্তিযোদ্ধা পরিবারকে আর্থিক সহযোগিতা করলেন দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া |
সাম্প্রতিক
সময়ে ঢাকায় এসে মুক্তিযোদ্ধা
সচিবের দূঃব্যবহারে আত্মহত্যাকারী চট্টগ্রামের সাতকানিয়া উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের
সাবেক কমান্ডার আইয়ুব খানের পরিবারকে
আর্থিক সহযোগিতা করেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী
ও বিএনপি চেয়ারপার্সন দেশনেত্রী
বেগম খালেদা জিয়া।
রোববার বিএনপি চেয়ারপারসনের গুলশান
কার্যালয়ে আত্মহত্যাকারী মুক্তিযোদ্ধা
আইয়ুব খানের স্ত্রীর খাদিজা বেগম, দুই
ছেলে ও দুই মেয়েকে
তিনি এ সহযোগিতা প্রদান
করেন।
এসময়
আরও উপস্থিত ছিলেন বিএনপি’র
সহ-সভাপতি আব্দুল্লাহ আল
নোমান, চট্টগ্রাম বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক গোলাম আকবর খন্দকার,
মুক্তিযোদ্ধা দলের সভাপতি ইসতিয়াক
আজিজ উলফত, ১ম যুগ্ম-সম্পাদক সাদেক খান।
উল্লেখ্য
রাজধানীতে একজন মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার
বিষ পানে আত্মহত্যা করেছেন। আইয়ুব
খান (৬২) নামের ওই
মুক্তিযোদ্ধা মঙ্গলবার সকালে তোপখানা রোডের
একটি হোটেলে বিষপান করেন। দুপুরে
ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন
অবস্থায় তিনি মারা যান।
পুলিশের
ভাষ্যমতে, মৃত্যুর আগে আইয়ুব খান
ঢাকার জেলা প্রশাসকের বরাবরে
চার পৃষ্ঠার একটি চিঠি লিখেছেন। তাতে
তিনি লিখেছেন, মুক্তিযোদ্ধা মন্ত্রণালয়ের সচিব এম এ
হান্নান তাঁকে বাসা থেকে
গলা ধাক্কা দিয়ে বের
করে দিয়েছেন। এই
অপমান সইতে না পেরে
তিনি আত্মহত্যা করেছেন।
পুলিশ
ও ঢাকা মেডিকেল কলেজ
হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়,
আইয়ুব খানের বাড়ি চট্টগ্রামের
সাতকানিয়া উপজেলায়। তিনি
চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা মুক্তিযোদ্ধা
কমান্ডের সদস্যসচিব ছিলেন। তিনি
সকালে তোপখানা রোডের কর্ণফুলী হোটেলের
২০৪ নম্বর কক্ষে বিষ
পান করেন। খবর
পেয়ে পুলিশ সেখান থেকে
তাঁকে উদ্ধার করে ঢাকা
মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে
যায়। হাসপাতালের
৭০২ নম্বর কক্ষে তাঁকে
ভর্তি করা হয়।
দুপুর ১২টার দিকে তিনি
মারা যান। ময়নাতদন্ত
শেষে তাঁর লাশ হাসপাতালের
মর্গে রাখা হয়।
পরে ২০৪ নম্বর কক্ষে
তল্লাশি চালায় পুলিশ।
এ সময় সেখান থেকে
তাঁর লেখা চার পৃষ্ঠার
ওই চিঠি উদ্ধার করা
হয়।
পুলিশ
জানায়, ঢাকার জেলা প্রশাসক
বরাবর লেখা চিঠিতে আইয়ুব
খান লিখেছেন, ‘চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা ইউনিট
কমান্ড ঘোষণার জন্য এম
এ হান্নান, সচিব মুক্তিযোদ্ধা মন্ত্রণালয়কে
মাছ, শুঁটকি ও টাকা
দেওয়ার পর দক্ষিণ জেলা
ইউনিট কমান্ড ঘোষণা করার
জন্য বারবার আবেদন করার
পর ঘোষণা না করলে
সচিবের বাসায় আমার দেওয়া
টাকা ফেরত চাইলে আমাকে
গলা ধাক্কা দিয়ে বাস
হতে অপমানিত করে বাহির করে
দেওয়ায় আত্মহত্যা করিলাম এবং আমার
লাশটা ঢাকায় দাফন করার
জন্য আবেদন।’
শাহবাগ
থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মামুন ফরাজী
বলেন, সকালে কর্ণফুলী হোটেল
থেকে আইয়ুব খানের বিষ
পান করার বিষয়টি থানায়
জানানো হয়। সকাল
সাড়ে ১০টার দিকে ওই
হোটেল থেকে তাঁকে উদ্ধার
করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ
হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। আইয়ুব
খান স্থানীয় মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার ছিলেন বলে জানান
তিনি। কর্ণফুলী
হোটেলের ২০৪ নম্বর কক্ষ
তল্লাশি করে একটি চিরকুট
উদ্ধারের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন
তিনি।
Comments